দেশে প্রথমবারের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে চালের কুঁড়া দিয়ে বিদ্যু উৎপাদন করা হচ্ছে এবং পোড়ানো কুঁড়ার ছাই থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে সিলিকা। অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এই প্রকল্পকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, জেলার চিলারং ইউনিয়নে সাসটেইনেবল এনার্জি এন্ড এগ্রো-রিসোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইটকলের সহযোগিতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে চালের কুঁড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।
আবার কুঁড়া পোড়ানোর ছাই থেকে সিলিকা উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন জায়গার রাবার, টায়ার, পেইন্ট, কসমেটিক, টুথপেস্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল, ফ্রুট, কীটনাশক ও সোলার সেল ইন্ডাস্ট্রিজে চলে যাচ্ছে। কোম্পানির তথ্য মতে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এই পরিমাণ ধান প্রক্রিয়াজাতকরণে ৮০ লাখ টন চালের কুঁড়া ও ২০ লাখ টন ছাই উপজাত হিসেবে পাওয়া যাবে।
অথচ এই কুঁড়া শুধুমাত্র বয়লারের জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। সাসটেইনেবল এনার্জি এন্ড এগ্রো-রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, ‘যেই জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি সেটি থেকে যে কার্বন বের হচ্ছে তা কিন্তু বাতাসে ছাড়া হচ্ছে না। সেই কার্বন-ডাই অক্সাইড দিয়ে আমরা সিলিকা তৈরি করছি।’
নির্বাহী পরিচালক আবুল ফজল মানিক বলেন, ‘টেকনোলজি পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের যে বিভিন্ন গ্রেডেশন, সেটা করাও আমাদের জন্য পসিবল।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।